চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৫শ তামাক চাষী আবুল খায়ের ট্যোবাকোর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতির সম্পুখিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে চাষীদের এ বিপুল অংকের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ায় তারা পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে লাভের আশায় তামাক চাষে পুঁজি বিনোযোগ করে এখন তারা সর্বশান্ত।
চাষীরা জানান, ৩ মাস আগে থেকে তারা জমি মালিকদের কাছ থেকে প্রতিকানি (৪০শতক) জমি ২০ হাজার টাকা করে আগাম লাগিয়ত নিয়ে তামাকের বীজতলা তৈরী, চারা উৎপাদন, তামাক শোধনের জন্য তন্দুল নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এ সব খাতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো। কোম্পানীর পক্ষ থেকে চাষ শুরুর পূর্বে চাষীদের মাঝে বীজ, পলথিন ও কিটনাশকসহ চাষের বিভিন্ন প্রকারের উপকরণ দিয়ে তাদেরকে তামাক চাষে উৎসাহ যোগান দিয়ে থাকে ।
আজ ২২ অক্টোবর বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা অভিযোগ করে বলেন, শেষ মুহুর্তে এসে গত ২/১দিন ধরে আবুল খায়ের কোম্পানী তামাক ক্রয় করবেনা মর্মে চাষীদের আগাম জানিয়ে দেয়ায় ওই কোম্পানীর অধিন ১৫শ তামাক চাষী এ বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এতে করে চাষীদের মাঝে চরম হতশা বিরাজ করছে।
এদিকে আবুল খায়ের ট্যোবাকোর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সরকার তামাক খাতে আয়কর বৃদ্ধি করে দেয়ায় ও তাদের পণ্য বাজারে বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে তামাক চাষ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আবুল খায়ের ট্যোবাকো কোম্পানীর রেজিষ্ট্রার্ড তামাক চাষী কামাল উদ্দিন মেম্বার জানান, তার এলাকায় ২৫০ জন চাষী, কাকারা ইউনিয়নের লোটনী গ্রামের তামাক চাষী এনামুল হক জানান, তার এলাকায় প্রায় ১শ জন চাষীসহ এ উপজেলার প্রায় ১৫শ চাষী বীজতলা ও চারা উৎপাদন শেষ করে শেষ মুহুর্তে কোম্পানীর পক্ষ থেকে তামাক ক্রয় না করার আগাম ঘোষনা দেয়ায় ১৫শ চাষীর প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চাষীরা এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: